সর্বান্তিক বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন নীচের লিংকে ক্লিক
করে:--
হরেক রকম-- হরে কর কম
হরেক
রকম
মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ
পার্ক, কোলকাতা, ভারত
|
১০/১২/২০১১ শনি, দুপুর
হরেক রকম---হরে কর কম
--------------------------------
বিন্দু মাসির সিন্দুকে ভাই হরেক রকম মাল
তার থেকে তাই খামচে তুলি কিছুটা জঞ্জাল
ছড়িয়ে দিলাম আশে পাশে পাতে দিলাম কিছু
খেয়ে দ্যাখো খাজা কাঁঠাল, গাছে পাকা লিচু
খেতে খেতে বিষম খাবে ধরবে মনে ভয়
যেমন তেমন নয়কো খাবার হজম হবার নয়
জল খাবে, ওষুধ খাবে পেটে হবে গ্যাস
সেকারণে দিলাম ছুঁড়ে সোজা কথা ব্যাস্
পষ্ট কথায় কষ্ট নেই মহাজনে কয়
ঘোর প্যাঁচ না-থাকাতে থাকে না সংশয়
তাই হে বাপু সোজা কথা দিলাম আমি ছুঁড়়ে
কেমন করে ধরবে আমায়, আছি বহু দূরে
হা-- হা-- হা--
১০/১২/২০১১ শনি,
দুপুর
কাঠ কথা
কাঠেদের দেখ ভাই নিরীহ কেমন
গাছ কেটে কাঠ হয় জানিবে তেমন
বোবা গাছে দিলে কোপ কেবা বাধা দেয়
ফটা ফট গাছ কাটা খুবই যে অন্যায়
ফুল পাতা মেলে ধরে আলো করে দিক
গাছ কাটা ভালো নয়, জেনে রাখো ঠিক
যদি দেখ দুই কাঠ পড়ে আছে মাঠে
জ্বলিবে আগুন তাহে ঘসে দুই কাঠে
বেঁচে থেকে ফুল ফল করে বিতরণ
মরিলেও তার কাছে অগ্নি-শরণ
মরিয়াও তবু তার কোনও ক্রোধ নাই
আগুন জ্বালিতে দেখ মরা গাছ চাই
মানুষ নির্লজ্জ কত কেটে ফেলে যারে
আগুন জ্বালিতে গিয়ে তারে পায়ে ধরে
ফুল ফল লতা পাতা যেখানে যা আছে
সকলেরই আছে কাজ কেহ নয় মিছে
সেই কথা মনে রেখে করিবে বিচার
যার যাহা মান আছে দিবে মান তার
১০/১২/২০১১
শনি, দুপুর
পেট
মোটা
পেটুক
বলে জানি তারে পিট পিটে নয় মোটে
খাবার কালে
সবাই তারে পেটুক বলে ওঠে
যতই
খাবার সামনে ধরো সকল সাবাড়় হবে
খাবার
নিয়ে তারে কেবা পিট পিটে আর কবে?
আম
খেলে, ফেলেনা তার ছোলা টোলা কিছু
কাঁঠাল
খাবার পরে ছোটে ভুতিটারও পিছু
হাতাখুন্তি
যায়না খাওয়া রক্ষে তাদের তাই
মাছের
কাঁটা যায় না ফেলা সেসব খাওয়া চাই
ভিটামিন
সব থাকে নাকি কাঁটাগুলোর ভেতর
সেসব
খেয়ে তাই তো তার এমন বিপুল গতর
হাঁটার
সময় পথের পাশে দেখে যেসব খাবার
নিশপিশ করে যে হাত সেসব কিছু খাবার
ছুটে
ছুটে যায় কখনও ধরে রাখা দায়
দোকান
ভরে মিছে সেসব সাজিয়ে রাখা হায়
কুড়়ি
দুয়েক রসগোল্লা দু-মিনিটে শেষ
হাঁড়়ির
রসও শুষে বলে, আহা খেলাম বেশ
লুকিয়ে
চাটে হাঁড়়ির কানা যেটুকু রস পায়
রস গড়িয়ে-পড়া হাঁড়ি কে ফেলিতে চায়!
রস গড়িয়ে-পড়া হাঁড়ি কে ফেলিতে চায়!
মুখ ধোয়
না খাবার পরে মিষ্টি যাবে ধুয়ে
চাটতে
চাটতে হাতখানি তার ঘুমিয়ে প’ল শুয়ে৻
১৩/১২/২০১১
ডিম সেদ্ধ
তখনও আঁধার ছিল, হয়না
তেমন ঠাহর
দুটো ডিম রাখা ছিল, টেবিলের ’পর
সেদ্ধ খাব বলে জল দিলাম এক বাটিতে
উনুনে দিলাম তুলে কিছুকাল ফুটিতে
বেশ কিছু পরে ডিম সিদ্ধ যখন হল
তুলে দেখি আলোতে, ডিম কোথা
আ মলো
বড় বড় পাতিলেবু টগবগ ফুটে
কালো কালো চেহারায় হল তিতকুটে
চুপচাপ ফেলে দিয়ে হাঁক পাড়ি-- গেলে কই?
খাওয়া দাওয়া হবে না কি, বাঁধাবো
কি হৈ-চৈ?
সব কেন চুপচাপ রান্না কি হবে না?
বলে দিনু খেতে মোর এত দেরি সবে না
পাঁউরুটি ডিম চাই, চা আনো
জলদি
আর দুটো কলা আনো পাকা রং হলদি
আপিসে কি যাব না, সব কাজ
বন্ধ?
কোথা থেকে আসে হেন তিতকুটে গন্ধ!
১৩/১২/২০১১, মঙ্গল, দুপুর
টাকচুলা
দাদুর ছিল মস্ত টাক কেমনতর জানো?
হিসেব যদি রাখবে তবে খাতা কলম আনো
আড়ে বেড়ে মাঠের মতো গভীর পুকুর যেন
ভাবছ বুঝি দাদুর টাক এমনি হল কেন?
জোয়ানকালে ছিল চুল, কৃষ্ণ কালো রং
আলপেটে চুল উঠত ফেঁপে ঢেউয়ের মতো ঢং
ঢেউগুলো সব তলিয়ে গেল বয়স যত বাড়ে
আয়নাতে তা দেখে দাদু দুঃখে মাথা নাড়ে
আয়নাটাকে ফেলল ছুঁড়ে চিরুনিটা সাথে
দাদু সেদিন কঠিন হল আপন প্রতিজ্ঞাতে
টাক-টাকে তার ফেলবে চষে পুকুর কাটা
হবে
ডাকল চাষি লাঙল হাতে দায়িত্ব যে লবে
শুরু হল চাষবাস, ফলল ফসল কত
প্রতি বছর হত চাষ এমনি অবিরত
পরে দাদু ঠিক করল পুকুর কাটা চাই
মাঠের পাশে শুরু হল খোঁড়াখুঁড়ি তাই
চাষির হাতে ফসল ফলে, জেলের হাতে মাছ
চারিপাশে লাগালো তার বহুরকম গাছ
তেপান্তরের মাঠ হল সে দাদুর সাধের
টাক
দেখবি যদি আয়রে ছুটে সবাইকে দে ডাক
১৩/১২/২০১১
মহা মানুষ
চারিদিক ভরা ছিল কুয়াশার ভারে
তারি মাঝে দেখিলাম হেঁটে যেতে তারে
গামছায় মোড়া ছিল মুখখানি তার
পায়ে ছিল ঝন ঝন শৃঙ্খলভার
আকাশের রংধনু নিয়ে, টংকার দেয় সে
ঠক ঠক ঠোকে যেন, চালে বসা বায়সে
যখন যেমন খুশি, হয় সে বিশাল দেহ
দেখিতে পায়না বুঝি, সচকিতে কেহ
শৃঙ্খল নয় পায়ে, আসলে তা গয়না
মানুষের গন্ধ তার মোটেই যে সয়না
তাই মুখে গামছা ঢেকে চলে সারা পথ
মানুষেরা জন্তু সব, এই তার অভিমত
ঘনঘোর কুয়াশায় যবে ঢাকে চারিদিক
মাঠে ঘাটে চরিবার সেটাই সময় ঠিক
তাই আজ ঘেরা দেখি চারিদিক কুয়াশায়
দয়া করে পৃথিবীতে নামিলেন মহাশয়
সূর্য তারারা সব হাতের খেলনা তার
মানুষে বুঝিবে কিবা অপার মহিমা আর
যেই ওঠে রোদখানা কুয়াশা মিলিয়ে যায়
পড়ে আছে দেখি তার জীর্ণ সে গামছায়
১৩/১০/২০১১
সমাধান
টিয়া কেন ঝাল খায় এ যে বড় মুশকিল
দুষ্টুমি করিলে কেন সবে দেয় কষে কিল?
গাড়ি চলে রাস্তায় আকাশে সে ওড়ে না
বিমানেরা জলে কেন সাঁতরায়ে চলে না
শশা যদি কাঁচা খাও, মাছ কেন খাবে না
দাদু কেন বাড়ি রবে, ইস্কুলে যাবে না?
সমস্যা কঠিন নয়, সমাধানও সোজা ভাই
বুঝলে না? মাথাখানা খুব সাফ হওয়া চাই
মশলা মাখায়ে মাছ কপাকপ গিলে খাও
দাদুকে পাকড়ায়ে ধরে ইস্কুলে পাঠায়ে
দাও
বেত নিয়ে দু-ঘা দাও তবে গাড়ি উড়বে
ট্রেনিংটা পেলে প্লেন সাঁতরানো
জুড়বে
বুদ্ধিটা খাসা চাই বুঝলেনা ছোট ভাই
দরকার যখনি হবে বুদ্ধিটা নিয়ো ছাই
ভাবছি বিদেশ যাব, যেতে চাই ইউ-এন-ও
বুদ্ধিটা সেরা মোর পৃথিবীতে তা জেনো
১৩/১০/২০১১
দুধ কল
ছিল সে এক আস্তাবল
সেথায় ছিল দুধের কল
খুলে দিলে হড়হড়িয়ে
দুধ পড়ত জোর
আহা, গল্পটা শোনো
না ধুত্তোর
মগে করে কতটুকু দুধ
ধরবে আর
আনতে হল জালার মতো
বিষম রকম ভাঁড়
দুধের বন্যা প্রবল
রকম হয়ে
জালা ভরে কত দুধ
গেল নালা বয়ে
থামানো যায় না আর
দুগ্ধের সে ধারা
চেঁচিয়ে বললে সবাই,
আরে দাঁড়া দাঁড়া!
সে কি আর দাঁড়ায়?
খবর গেল পাড়ায়
ছেলে বুড়ো নারী
পুরুষ জুটল এসে সব
থামো থামো দুধের
ধারা, জুড়ল সবাই স্তব
স্তবে কিছু হল না
তার, বইছে দুধের ধারা
কেমন করে থামবে দুধ
সবাই ভেবে সারা
এতটা দুধ নষ্ট হওয়া
কাজের কথা নয়
উপচে গিয়ে ঘটল কত
বিপুল অপচয়
শেষে সে এক শিশু,
মজা করে দিল কলে চাপ
অমনি ওরে বাপ, থেমে
গিয়ে দুধের ধারা ঘুচায় মনস্তাপ
১৩/১২/২০১১ মঙ্গল, সন্ধ্যা
দাঁত সমস্যা
দাঁত ছিল পলকা তার, ভাত খেতে খেতে
মাড়ি থেকে খুলে গিয়ে উঠে এলো হাতে
দেখেই ভিরমি খায়, কী রে হল তা ভেবে
আর কি কোনও বাপ তারে কনে দেবে?
দাঁত পড়ে দাদু হয় একথাটা পষ্ট
তাই ভেবে মনে পেল কী ভীষণ কষ্ট
কেমনে সারাবে দাঁত, ভেবে তাহা কুপোকাত
বিমর্ষ বদনে কাটে অতন্দ্র অনেক রাত
ডাক্তারের কাছে গেলে জেনে যাবে লোকে
তখন ভরিবে মন সন্তাপে শোকে
তাই এক বুদ্ধি খাটালো সে খুব জোর
কামারের কাছে গেল রাত্রি হতেই ভোর
বুদ্ধির শলা চলে দুইজনে বসে বহুক্ষণ
লোহা দিয়ে হলে দাঁত মানাবে কেমন
লোহা-কালো দাঁত হলে সাদাদের মাঝে
আসবে তাহা কি কোনও প্রকৃতই কাজে?
ঠিক হল রং করে দিতে হবে সাদা তায়
আসলের মতো যেন সেটিকেও মনে হয়
দাঁত তার হল বটে, মুখে তবু রয় না
কী বিষম উৎপাত জ্বালাতন সয় না
অবশেষে ভেবে ভেবে ঠিক হল ফন্দি
দাঁত যদি না থাকে তার মুখ-মাঝে বন্দী
মুখটাই বানিয়ে নিলে চুকে যায় ল্যাঠা সব
দুজনেরই ঠিক ঠিক লাগে এই মতলব
ঠুকে ঠুকে লোহা দিয়ে বানাইল মুখখান
মুখ দেখে ভয়ে লোকে পালাইল শুনসান
দেখেই ভিরমি খায়, কী রে হল তা ভেবে
আর কি কোনও বাপ তারে কনে দেবে?
দাঁত পড়ে দাদু হয় একথাটা পষ্ট
তাই ভেবে মনে পেল কী ভীষণ কষ্ট
কেমনে সারাবে দাঁত, ভেবে তাহা কুপোকাত
বিমর্ষ বদনে কাটে অতন্দ্র অনেক রাত
ডাক্তারের কাছে গেলে জেনে যাবে লোকে
তখন ভরিবে মন সন্তাপে শোকে
তাই এক বুদ্ধি খাটালো সে খুব জোর
কামারের কাছে গেল রাত্রি হতেই ভোর
বুদ্ধির শলা চলে দুইজনে বসে বহুক্ষণ
লোহা দিয়ে হলে দাঁত মানাবে কেমন
লোহা-কালো দাঁত হলে সাদাদের মাঝে
আসবে তাহা কি কোনও প্রকৃতই কাজে?
ঠিক হল রং করে দিতে হবে সাদা তায়
আসলের মতো যেন সেটিকেও মনে হয়
দাঁত তার হল বটে, মুখে তবু রয় না
কী বিষম উৎপাত জ্বালাতন সয় না
অবশেষে ভেবে ভেবে ঠিক হল ফন্দি
দাঁত যদি না থাকে তার মুখ-মাঝে বন্দী
মুখটাই বানিয়ে নিলে চুকে যায় ল্যাঠা সব
দুজনেরই ঠিক ঠিক লাগে এই মতলব
ঠুকে ঠুকে লোহা দিয়ে বানাইল মুখখান
মুখ দেখে ভয়ে লোকে পালাইল শুনসান
১৪/১০/২০১১ সকাল
সাদা চুল
ওরে প্যালা শোন না
নিয়ে আয় সন্না
পাকা চুল তুলে দে
দুই টাকা এই নে
ছোলা ভাজা গিয়ে খা
চুল তুলে দিয়ে যা
তিন কুড়ি বয়স মোটে
চুল পেকে সাদাটে
ছি ছি চুল
তোর মোটে নেই লাজ
তরুণ বয়সে একী,
নিলি তুলে সাদা সাজ
তবে রে চুল ব্যাটা
নেব তুলে গোটা গোটা
আয় ওরে প্যালা শোন
সাদা চুল কটা গোণ
একশ’ তুললে চুল একটাকা দেব রে
তুলে তুলে সব চুল ন্যাড়া মাথা হব রে
পাকা চুল তুলে দে
দুই টাকা এই নে
ছোলা ভাজা গিয়ে খা
চুল তুলে দিয়ে যা
তিন কুড়ি বয়স মোটে
চুল পেকে সাদাটে
ছি ছি চুল
তোর মোটে নেই লাজ
তরুণ বয়সে একী,
নিলি তুলে সাদা সাজ
তবে রে চুল ব্যাটা
নেব তুলে গোটা গোটা
আয় ওরে প্যালা শোন
সাদা চুল কটা গোণ
একশ’ তুললে চুল একটাকা দেব রে
তুলে তুলে সব চুল ন্যাড়া মাথা হব রে
১৫/১০/২০১১
কুকুরের মাংস
ঘিয়ে ভাজা কুকুরেরা ঘোরে দেখ রাস্তায়
গোটা দুই চাও যদি পেয়ে যাবে সস্তায়
সকালে বিকালে খাও, খাও রাত ডিনারে
সস্তায় খেতে হলে দূর করো ঘৃণারে
জ্যান্ত জন্তু হেন কোথা তুই পাবিরে
সাধিলে খায়না কাঁঠাল, পরে ডেকে
খাবিরে
বিদেশে চালান যদি দেই এই মাংস
জাগিবে অর্থনীতি, রোধ হবে ধ্বংস
গোয়ালের কাছে ঘাস খায় না যে গরুতে
কিছুটা সংকোচ জানি হয় সব শুরুতে
চোখ বুঁজে একবার খাওয়া শুরু করা চাই
অচিরে দেখিবে চেয়ে পাতে আর কিছু নাই
সাধাসাধি ঠেলাঠেলি করা দেখে ভেবো না
টু-পাইস কামিয়ে নেব? সেই কাজে যাব না
নিজের মাংস বেচে কুকুরেরই যাবে প্রাণ
কী লাভ হইবে তার দেহটি করিয়া দান?
বাঁচাবে তাহারে তুমি, তার প্রতি বড়
টান
পশুপ্রেমী তুমি বটে, তাহলে মলছি কান
চোর
সিঁদ কেটে এক চোর ঢুকে গেল ভিতরে
গৃহস্থ ঘুমায়ে ছিল মাচার উপরে
দেখিল সে চেয়ে চেয়ে চোর কিবা করে কাজ
ধরিবে জব্বর তারে বাগে পেয়ে কাছে আজ
কাছা কোছা দিয়ে জোর তেল মেখে নিল গায়
ডন বৈঠক দিল, বেশ জোর বাড়ে তায়
চু-কিতকিত করে বেশ, করিল সে মস্কো
আলমারি সরাল ঠেলে, সরাইল বাক্স
ফাঁকা করে নিল ঘর, যুদ্ধটা যদি হয়
বিছানা, চাদর ছুঁড়ে দিল ফেলে আঙিনায়
এইবারে বেশ হল কোথা চোর পালাবে
সিঁদ কেটে বাছা চোর মোরে তুমি
জ্বালাবে?
সব কাজ শেষ হলে গৃহিণীরে ডাকিল
ওঠো ওঠো চোর চোর, বলে জোর হাঁকিল
ঘুম ভেঙে ঘরণী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কয়
ধরিতে হইলে চোর হাঁকাহাঁকি মোটে নয়
কোথা আছে চল চোর খুঁজে দেখি এখনই
ডাকিলে না কেন মোরে টের পেলে যখনই
দেখিল খুঁজিয়া তারা এঘরে ওঘরে
ভেঙেচুরে নিয়ে গেছে সব কিছু সে চোরে
চোর গেছে পালিয়ে ঘণ্টা খানেক হয়
নিয়ে গেছে টাকাকড়ি সব কিছু সঞ্চয়৻
৪/১/২০১২ বুধবার, রাত
ফল কথা
তেমন হলে কথা নাকি যায় ফ’লে
গাছ তলাতে দেখতে গেলাম,
কেমন
করে তা ফ’লে
গিয়ে দেখি হাওয়ায় ওকী দোলে
থোকা থোকা আছে কত কথাগুলো ফ’লে
লাল নীল কালো সাদা
ফ’লে আছে গাদা গাদা
কাঁচা পাকা মিঠে কড়া
গাছের ডালে ফলটি ধরা
পেড়ে নিয়ে খেলাম যেই
দেখি তা যে কেবল হাওয়া
কোথ্থাও
কিচ্ছু নেই
০৬/০১/২০১২, শুক্র, দুপুর
সাইকেল
ওহে ভাই মাইকেল
চড়িছ কি সাইকেল?
চেয়ে দেখ পিছনেতে নেই তার চাকা
চাকার কি উচিত নয় ঠিকখানে থাকা?
কিন্তু সে নেই কেন বলতে কি পার?
বুকু নিল খুলে চাকা, দরকার তারও
তবু দেখ সাইকেল চলে সর-সর
যদিও চলাটা পুরো চাকাতেই নির্ভর
কিন্তু হে মনে মনে ব্যথা তুমি পাবে
জোর
সেই ভেবে সাইকেল জুড়ে দিল চক্কর
এতখানি পথ দেখ চলে এলো সবেগে
ভালোবাসে তোমারে সে, তারই জোর আবেগে
সর-সর চলা তার চিরকাল অভ্যেস
এতখানি পথ তাই চলে এলো দেখ বেশ
চাকা না থাকুক তার অভ্যেস আছে
অভ্যেস বশে তাই এতদূর আসে
যেই তুমি জেনে গেছ চাকা তার নেই
অভ্যেসে সাইকেল হারিয়েছে খেই
তাড়াতাড়ি নেমে পড় মাইকেল ভাই
এইবারে সাইকেলে চাকাখানি ঠিক চাই
২২/০২/২০১২, বুধবার, সন্ধ্যা
ডিমপাড়া
ঘোড়ায় নাকি ডিম পাড়ে না
হাতিতেও
তাই
কেন যে পাড়ে না ডিম
বুঝি না যে ছাই
পিঁপড়েরা ডিম পাড়ে
ডিম
পাড়ে হাঁসে
হাতি ঘোড়া চলে সদা
মুখ
দিয়ে ঘাসে
পাখিদের আছে পাখা
সাপেদের
থাকে না
প্যাঁক প্যাঁক করে হাঁস
সুর
তুলে ডাকে না
কেন হয় এই সব
কেবা
তাহা জানে
যাহার যা খুশি করে
চায়
যাহা প্রাণে
সর্বশেষ পরিমার্জন ১৯/০৬/২০১৬
-- ০০ --
কিংবা
অতিরক্ত পাঠ হিসেে দেখা যেতে পারে --
বাংলাবিদ্যা আলোচনা :
No comments:
Post a Comment